স্বদেশ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তবে এই বৈঠকেও দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে রাজপথ ছাড়ছেন না তারা। গত শনিবার রাতে নেতৃবৃন্দের সাথে উপদেষ্টার বৈঠক হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিক্ষক নেতারা প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা কবির বিন আনোয়ারের সাথে দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদিকা শামসুন্নাহার চাপা, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও শিক্ষাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।
এ সময় শিক্ষক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ফয়েজ আহমেদ, প্রেসিডিয়ামের সদস্য ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি ড. মিজানুর রহমান মজুমদার, সহসভাপতি মো: মহিউদ্দিন, মো: ইকবাল হোসেন, সংগঠনিক সম্পাদক বাহারুল ইসলাম, অধ্যাপক নাজিমুদ্দিন তালুকদার প্রমুখ। উল্লেখ্য মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে গত ১১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলন করছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। ১২ দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক বার্তা তারা পাননি।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক ও মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ সংগ্রাম কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদসহ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতারা ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ বিষয়ে আলোচনায় বসেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের : আন্দোলনরত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান। বিবৃতিতে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রফেসর ড.এম কোরবান আলী ও জেনারেল সেক্রেটারি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থনও জানিয়েছেন। নেতৃদ্বয় বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে গত ১৩ দিন ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকরা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি দাবি মেনে নেয়া তো দূরের কথা উল্টো তাদের হামলা করে আহত করা হয়েছে। যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। শিক্ষকরা হলো জাতি গড়ার কারিগর। শিক্ষদের তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে আদর্শ জাতি গঠন করা সম্ভব নয়।
আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের নেতৃদ্বয় বলেন, অনাকাক্সিক্ষত কোনো ঘটনা ঘটার আগেই আন্দোলনরত মাধ্যমিক স্কুলসহ সব এমপিওভুক্ত বেসরকারি কলেজ,মাদরাসার শিক্ষকদের জাতীয়করণ করুন এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের ঘরে ফেরার সুব্যবস্থা করবেন। সাথে সাথে ইবতেদায়ি মাদরাসাসহ সব বেসরকারি শিক্ষক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।